কারাগারে খালেদা জিয়া ‘আনফিট’

কারাগারে খালেদা জিয়া 'আনফিট'

নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগতভাবে আনফিট। এ কারণে তিনি কারাগারের পাশে বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিকালে এ তথ্য ওঠে আসে।

শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে, এ মেয়াদ বাড়ানো হোক।

এ সময় রোজার মাসে এ মামলার শুনানির তারিখ না রাখার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

এর পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া যেখানে আছেন, সেখান থেকে কিছু দূর হেঁটে গাড়িতে উঠতে হয়। কিন্তু ওইটুকু পথ তিনি হেঁটে আসতে চান না। এ ছাড়া কারাকর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছে- তিনি আদালতে আসার জন্য আনফিট।’

এর পর অল্প সময়ের ব্যবধানে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ রাখতে আদালতে আবেদন করেন দুদকের এ আইনজীবী।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হলে আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান আগামী ৪ জুন শুনানির নতুন দিন ধার্য করে এজলাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার এ বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে ওই দিনই তাকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর পর ২২ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।

এর পর ২৮ মার্চ ও ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে হাজিরের দিন ধার্য থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে হাজির করা হয়নি বলে আদালতকে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলে ন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment